কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
মনুমিয়া বয়সের ভারে ন্যুজ। তাঁর মুখের দুই চোয়াল ভেঙে গেছে। চোখ দুটো ভেতরে ঢুকে গেছে। শরীরে পুষ্টির অভাব যে প্রকট তা তাঁকে দেখেই বোঝা যায়। তাঁর বয়স ষাট। কিন্তু তাঁকে মনে হচ্ছে নব্বই বছরের বৃদ্ধ। এই বয়সে এখন আর রিকশা টানতে পারেন না তিনি। তারপরও বাধ্য হয়ে তিনি কঠিন কাজটি করে চলেছেন। তা না হলে যে পেটে ভাত জুটবে না! বৃদ্ধ বলে অনেকে তার রিকশায় চড়তে চায় না। আধাঘণ্টার পথ পার হতে দুই ঘণ্টা লাগবে। কে শুধু শুধু কাজ ফেলে রিকশায় বসে থাকবে! তিনি ডাকাডাকি করে, ভাইসোনা বলে কাউ কাউকে রিকশায় তোলেন। কিন্তু তারপর আর ঠিকমতো টানতে পারেন না। যাদের তাড়া থাকে তারা কিছুদূর গিয়ে বিরক্ত হয়ে রিকশা থেকে নেমে যান। আবার অনেকে করুনা করেন। মনুমিয়ার রিকশায় না চড়লে তিনি খাবেন কি? কারো কাছে হাত পাতার লোক নন তিনি। তাঁর আত্মসম্মানবোধ বেশ টনটনে। কারো দানের ওপর তিনি বেঁচে থাকতে চান না মনুমিয়া। একাত্তরে মনু মিয়া যুদ্ধে গিয়ে যেন বড় অন্যায় করে ফেলেছেন। তার জন্য তাঁকে খেসারত দিতে হলো। তাঁর মা বাবা ভাইবোনকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো। তাঁর স্ত্রী পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে সম্ভ্রম হারিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন। যুদ্ধ শেষে মনুমিয়া বাড়িতে ফিরে যখন দেখলেন শুধু শূন্য ভিটা পড়ে আছে; তখন তিনি পাগলের মতো হয়ে যান। কথায় বলে না, অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর। এক পর্যায়ে মনু মিয়া বুকে পাথর চেপে শোক অবদমন করেন। মনু মিয়া মনে মনে ভাবেন, কেন আমি বেঁচে থাকলাম? যুদ্ধের ময়দানে জীবন দিলে তো শহীদের মর্যাদাটুকু পেতাম! আর ফিরে না এলে এমন কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখিও হতে হতো না। বিধাতার এ কী বিধান! কেন আমার জীবনের এমন করুন পরিণতি! যুদ্ধে জয়ের পর আমার তো আনন্দে ফেটে পড়ার কথা ছিল! অথচ আজ আমার চেয়ে দুঃখী মানুষ দ্বিতীয় কেউ নেই। মনু মিয়া নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেননি। স্বাধীন দেশে এক তরুণ মুক্তিযোদ্ধার যে জীবন হওয়ার কথা ছিল, সেই জীবনের চাকা তাঁর উল্টোদিকে ঘুরেছে। এক সময়ে জীবিকার তাগিদে মনু মিয়াকে রিকশার প্যাডেল ঠেলতে হয়েছে। যেদিন তিনি রিকশা চালাতে পারেন, সেদিন তার পেটে ভাত জোটে। আর যেদিন রিকশা চালাতে পারেন না, সেদিন পেটে দানাপানিও পড়ে না। আর, এখন তাঁর জীবনটা তেলবিহীন সলতের মতো নিভু নিভু করে জ্বলছে। যে কোনো মুহূর্তে হয়তো নিভে যাবে তাঁর জীবন প্রদ্বীপ। মনু মিয়া মনে মনে বলেন, হায়রে কপাল! একজন মুক্তিযোদ্ধার জীবন কী এভাবেই কাটবে! পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই। রিকশা না চালালে এতোদিনে হয়তো মরতে হতো! এই জন্যই কি দেশটারে স্বাধীন করছি! কে বলবে আমাদের কথা! সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। মনু মিয়া বিড় বিড় করে কী যেন বলেন। তার স্মৃতিতে ভাসে একাত্তরের সেই সব ঘটনাগুলো। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে রাজাকাররা লুটপাট করে পয়সা বানিয়েছিল। আর এখন তারা পুরো দেশটাই লুটেপুটে খাচ্ছে। দেশটাকে যারা স্বাধীন করলো, তারা বড় অসহায়! এই দৃশ্য আর দেখতে পারছি না। একাত্তরের স্মৃতি রোমান্থন করতে করতে এক সময় কান্নায় ভেঙে পড়লেন মনু মিয়া। তার দুই চোখ বেয়ে দর দর করে পানি পড়ছে। তিনি রিকশাটা রাস্তার পাশে রেখে একা বসে অনেকক্ষণ কাঁদলেন। হঠাৎ পেছন দিক থেকে এক ছাত্র তাকে ডেকে বলল, এই বুড়ো, যাবে? মনু মিয়া ছেলেটির দিকে তাকালো না। ছেলেটা আবারও বলল, এই বুড়ো, বুড়ো! এতো ডাকছি, কথা জানে যাচ্ছে না? মনু মিয়া কাঁধের গামছা গিয়ে চোখ মুছে ছেলেটির দিকে তাকালো। ভাঙা ভাঙা গলায় বলল, জি বাবা, বলেন। মনু মিয়ার চোখ দেখে বিস্ময়ের সঙ্গে ছেলেটা বলল, এ কী! আপনি কাঁদছেন? স্যরি, আমার ভুল হয়ে গেছে। এভাবে আপনাকে ডাকা ঠিক হয়নি।মনু মিয়া নরম গলায় বলে, না বাবা। আপনার কি দোষ? রিকশাওয়ালা মানুষ। তার আবার সম্মান আছে নাকি! চাচা, আমি আবারও স্যরি বলছি। আমি বুঝতে পারিনি। ঠিক আছে বাবা। আমি মনে কিছু করিনি। সত্যি বলছেন তো? হ বাবা। সত্যি বলছি। ছেলেটা পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকার একটি নোট মনু মিয়ার হাতে দিয়ে বলল, চাচা, এই টাকাটা রাখেন। না বাবা। আপনি ছাত্র মানুষ। আপনার কাছ থেকে টাকা রাখা অন্যায় হবে। আমি খুশি হয়ে দিয়েছি। তাছাড়া এটা আমার বৃত্তির টাকা। আপনাকে আমি খুশি হয়ে দিয়েছি। জি! কি বললেন? বৃত্তির টাকা! জি চাচা। আমি খুশি হয়ে আপনাকে দিলাম। আমার জন্য শুধু দোয়া করবেন। মনু মিয়ার চোখে পানি এসে যায়। তিনি টাকা হাতে নিয়ে দুই চোখের পানি ছেড়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, আপনি অনেক বড় হবেন বাবা। সত্যিই বড় হবেন। চাচা, আমি আপনার নাতির বয়সী। প্লিজ আমাকে তুমি করে বলবেন। বাবা, আপনার নাম কি? আমার নাম রাকিব। মোহাম্মদ আবদুর রাকিব। খুব ভালো নাম। আপনি কার ছেলে বলেন তো? চাচা, প্লিজ আমাকে তুমি করে বলেন। আমি আবদুর রহিম সাহেবের ছেলে। ওহ তাই! খুব ভালো। আপনি, না আর আপনি বলবো না। তুমি বলবো। তোমার বাবাও আমার বয়সে অনেক ছোট। চাচা, আপনার কথাবার্তা শুনে তো মনে হয়, আপনি শিক্ষিত। আপনি রিকশা চালাচ্ছেন কেন? অন্য কিছু করতেন! মানে, যেসব কাজে শারিরিক কষ্ট নেই, সে সব কাজ! না বাবা। আমি মোটেই শিক্ষিত না। ক্লাশ টেন পর্যন্ত পড়ছি। তারপরই যুদ্ধের ডাক পড়লো। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে নামছি। তারপর... মনু মিয়ার দুচোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো। তিনি আর কথা বলতে পারলেন না। তার কান্না দেখে রাকিবও আবেগপ্রবণ হয়ে গেলো। সে আড়ষ্ট কণ্ঠে বলল, স্যরি চাচা, আমি বুঝতে পারিনি। না বুঝেই আমি আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেললাম। না বাবা। আমি বরং কথা বলে একটু হালকা হয়েছি। বুকের ওপর কষ্টগুলো যেন পাথরের মতো চেপে বসেছিল। কাউকে তো বলতে পারি না। এসব কথা এখন বলাও যেন নিষিদ্ধ! যে দেশের জন্য সবাইকে হারালাম! সেই দেশ আমাকে কি দিয়েছে! অবহেলা, অনাদর, অনাহার....। মনু মিয়া কাঁধের গামছা দিয়ে চোখ মুছলেন। নিজের আবেগ সংবরণ করে বললেন, চলো বাবা, আমি তোমাকে দিয়া আসি। রাকিব বলল, না চাচা, আপনাকে দিয়ে আসতে হবে না। আপনি রেস্ট নেন। কেন বাবা? যাবা না কেন? আপনি রকশা চালাবেন আর আমি সেই রিকশা বসে যাবো! এটা হতেই পারে না। কিন্তু তোমার টাকা তো সব আমাকে দিয়া দিলা। এখন যাবা কেমনে? হেঁটে যাবো। এতোটুকু পথ আর রিকশা লাগবে না। আমার জন্য তুমি এতো করলা বাবা! আল্লাহ তোমাকে অনেক বড় করবে বাবা! আমি তোমার জন্য দুই হাত তুইল্যা দোয়া করি। ঠিক আছে চাচা, আমি গেলাম। আচ্ছা বাবা, আচ্ছা। রাকিব চলে গেলো। তার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন মনু মিয়া। কিছুক্ষণ পর তিনি পকেট থেকে টাকাটা বের করেন। উল্টেপাল্টে ভালো করে দেখেন। তারপর পকেটে ঢুকিয়ে রাখেন। আবার সেই টাকা পকেট থেকে বের করে ভালো করে দেখেন। মনের মধ্যে অন্যরকম একটা সুখ অনুভব করেন। এ সময় একজন যাত্রী এসে ডাকাডাকি করেন। এই রিকশা! রিকশা! মনু মিয়া আগেই মনে মনে স্থির করেছেন, আজ তিনি রিকশা চা লাবেন না। পঞ্চাশ টাকায় তার দুইবেলা খাওয়া হয়ে যাবে। কাজেই আজ রিকশা না চালালেও চলবে। মনু মিয়া লোকটার দিকে তাকান। তাকে ভালো করে দেখেন। না, সে এলাকার কেউ না। এলাকার হলে না হয় কষ্ট করে তাকিয়ে দিয়ে আসতেন। দুইবেলার খাওয়ার পয়সা যেহেতু হাতে আছে সেহেতু থাক। আজকের মতো রিকশা টানা বন্ধ। মনু মিয়া লোকটাকে দেখেও না দেখার ভান করেন। তিনি উদাস দৃষ্টিতে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকেন। লোকটা আবারও ডাকাডাকি শুরু করলো। এই যে রিকশা; যাবে? মনু মিয়া বিরক্তির সুরে বললেন, না, রিকশা যাবে না। কেন ভাই; সমস্যা কি? সমস্যা আছে বলেই যাবে না। অন্য রিকশা দেখেন। অন্য রিকশা তো দেখছি না। হাঁটতে হাঁটতে আমার পা ধরে গেছে। আমি আর পারছি না। আমাকে দয়া করে একটু দিয়ে আসেন না ভাই! আপনি কোথায় যাইবেন? কোন বাড়ি? আমি আকন বাড়ি যাবো। ফজলু আকন। ফজলু আকন? নাম শুনেই মনু মিয়ার রক্ত মাথায় উঠে যায়। তিনি রাগে ক্ষোভে কিড়মিড় করতে থাকেন। তিনি মনে মনে বলেন, শালা রাজাকার! লোকটা কিছুক্ষণ পর মনু মিয়ার কাছে জানতে চাইল, কি ভাই? চুপ করে আছেন কেন? কিছু বলেন! ফজলু আকন কি হন? উনি আমার বাবা। আমার নাম রাজু আকন। মনু মিয়া লোকটার আর কোনো কথা শুনলেন না। তিনি হন হন করে হাঁটা শুরু করলেন। আর বিড় বিড় করে বলেন, রাজাকারের পুত্র রাজাকারকে আমি রিকশায় তুলবো? না না! প্রশ্নই ওঠে না। হাজার টাকা দিলেও আমি ওকে আমার রিকশায় তুলব না। আবার বলে কী না, তার পা ব্যথা। ওর পা পচে যাক। ওর পা গলে যাক। তারপরও আমি রিকশায় তুলব না। কত বড় সাহস। মুক্তিযোদ্ধার রিকশায় রাজাকারের বাচ্চা! না না! কিছুতেই না। রাজু আকন অবাক। সে দরাজ গলায় মনু মিয়াকে ডাকে। এই যে রিকশাওয়ালা ভাই! কি ব্যাপার? আমাকে না নিয়া চলে গেলেন যে! আমাকে নিয়া যান! মনু মিয়া চিৎকার দিয়ে বললেন, আমার রিকশায় কোনো রাজাকার কিংবা রাজাকারের বাচ্চারে তুলি না! যেই দিন থেকে রিকশা চালান শুরু করছি, সেই দিনই প্রতিজ্ঞা করছিলাম। না খাইয়া থাকলেও প্রতিজ্ঞা ভাঙবো না। রাজু আকন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে মনু মিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। মনে মনে বলে, রিকশাওয়ালা ভাই কি সত্য কথা বলছে! আমি সত্যি সত্যিই কি রাজাকার! না। তাহলে কে? আমার বাবা? আমি কি তাহলে রাজাকারের বাচ্চা! না না! এ হতে পারে না! রাজাকারের বাচ্চার এই অপবাদ নিয়ে আমি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই না! পাগলের মতো চিৎকার করতে থাকে রাজু আকন। রাজাকার বাচ্চা শব্দটা তার সর্বাঙ্গে তীরের ফলার মত বিধতে শুরু করলো। রাজু আকন চিৎকার দিয়ে কাঁদছে আর পাগলের মতো দৌড়াচ্ছে। সে বাড়ির দিকে না গিয়ে উল্টো দিকে দৌড়াতে থাকে। মনু মিয়া পেছনের দিকে তাকিয়ে রাজু আকনকে দৌড়াতে দেখে রিকশা থামান। তারপর রাজু আকনের দৌড় দেখেন। কিছুক্ষণ পর মনে মনে বলেন, অনেক দিন পর আমার আজ মনের মধ্যে শান্তি লাগতেছে। পরম শান্তি! ২. মনু মিয়া রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যাত্রী ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু কেউ তার রিকশায় উঠছে না। তাকে পাশ কাটিয়ে অন্য রিকশায় চড়ে চলে যাচ্ছে। রাকিব মনু মিয়ার সামনে এসে দাঁড়াল। তাকে দেখে মনু মিয়া মুসকি হেসে বললেন, কি খবর বাবা; ভালো আছ? রাকিব বলল, জ্বি চাচা ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? আমার আর থাকা বাবা! আয় রোজগার নাই। সকালে খাইলে দুপুরের খাব কি তা নিয়া টেনশন! চাচা, আপনাকে একটা সুখবর দিই। নিশ্চয়ই এটা আপানার জন্য সুখবর। বল বাবা বল। কি সুখবর দিবা আমাকে? চাচা রাজাকার ফজলু আকনের তো বিচার হবে। কী! কী বললা! ফজলু আকনের বিচার হইবো! সত্যি বলছো? হ্যাঁ চাচা। সত্যি। একশভাগ সত্যি। পেপারে তার নাম আসছে। ও আল্লাহ! কয় কী! রাজাকার ফজলুর বিচার হইবো! রাজাকার ফজলুর বিচার হইবো! মনু মিয়া যেন আনন্দের সাগরে ভাসতে থাকলেন।
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ মহামারি ইতিমধ্যে সহনীয় হয়ে আসায় দেশে দেশে আবার সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে শুরু করেছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হলেই যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে যায়, তা জানা কথা। অনেক দিন পর আবার সেই লক্ষণ দেখা দিয়েছে।